Thursday 18 May 2017

পাবর্ত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি গোষ্ঠীর জানা অজানা তথ্য নিয়ে সাংবাদিক সাগর সরোয়ারের বই - কর্নেলকে আমি মনে রেখেছি

বই : কর্নেলকে আমি মনে রেখেছি
লেখক : সাগর সরোয়ার
প্রকাশনী : ভাষাচিত্র
মোট পৃষ্ঠা : ৮৭
প্রথম প্রকাশ : একুশে বইমেলা ২০১১

পাবর্ত্য চট্টগ্রামের শান্তিবাহিনী গঠন, সেনাবাহিনীর ভূমিকা, তৎকালীন সরকার এবং সেনাবাহিনীর ধারা পাহাড়ি গোষ্ঠীর উপর নির্যাতন, অবৈধ ভাবে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ, এই শান্তিবাহিনী কে শেল্টার-ই বা দিত কে? কোন স্বার্থে ? প্রভৃতি তৎকালীন ইস্যু নিয়ে এই বইটি।
বইতে অনেক কিছুই বিস্তারিত বলা নেই। কয়েক পৃষ্ঠা পর হঠাৎ একটা লাইন। পড়ে পাঠকই ঠিক করুন এই লাইনের অর্থ কি। এই ব্যাপার টাই ভালো। ভালো খারাপ পাঠকই চিন্তা করে বেছে নিক।

বইয়ের লেখক সাংবাদিক সাগর সরোয়ার। হ্যাঁ সাগর-রুনি এর সেই সাগর। একজন সত্য সাংবাদিক ছিলেন। তার অনেক সোর্স ছিল, অনেক খবর আসতো, শুধু আসেনি তাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনার খবর টি।

না, তার হত্যাক্যান্ডের সাথে সম্পর্কিত কোন বিষয় এই বইতে নেই। কিন্তু সেই ১৯৫৬ সাল কিংবা তারও আগে থেকে পাহাড়িদের সাথে যে অবহেলা, নির্যাতন হয়েছে তার কিঞ্চিৎ বর্ণনা আছে।

বেক্তিগত রেটিংঃ ৪/৫




Sunday 7 May 2017

ভোক্তা অধিকার আইন কী? কেন এ আইন

আপনি কি জানেন ভোক্তা অধিকার আইন কী? আপনি, আমি, আমরা যারা টাকা দিয়ে কোন সেবা বা দ্রব্য কিনে থাকি তারাই হচ্ছি ভোক্তা। অনেকেই হয়ত ভাবেন আমি এ আইন যেনে কি করব। প্রত্যেকেরেই এ আইন সম্পর্কে জানা এবং তা কি ভাবে প্রয়োগ করা যায় সে সম্পর্কে অবগত হওয়া জরুরি। তাহলে আপনি, আমি বা আমরা প্রতারিত হওয়ার কোন সুযোগ থাকবে না। খুব সহজেই আপনি আপনার অধিকার পেতে পারেন এই আইনের মাধ্যমে।


যা ভোক্তা অধিকার আইনের বিরোধী?
কোন পণ্য বা সেবা নির্ধারিত মূল্যেরে চেয়ে বেশি মুল্যে বিক্রি করা ভোক্তা অধিকার আইনের বিরোধী। কোমল পানিয় থেকে শুরু করে যেকোনো খাবারে বেজাল বা বিষাক্ত বা রাসায়নিক পদার্থ মিশানো। মিথ্যা বা চটকধার  বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাকে নিম্নমানের পণ্য কিনতে উদ্বুদ্ধ করা। পণ্যের গুণগত মান  অনুযায়ী দাম বেশি নেয়া বা সে অনুযায়ী সেবা প্রদান না করা। ওজনে বা পরিমাপে কম দেওয়া। নকল এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ তৈরি বা বিক্রি। সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান এ আইনের অন্তরভুক্ত। সরকারি যেসকল প্রতিষ্ঠান যেমন- পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পয়নিস্কাশন, যোগাযোগের কাজে নিয়োজিত। সেবার তুলনায় বেশি অর্থ নিচ্ছে বা সে অনুযায়ী সেবা বা পণ্য পাচ্ছেন না তা নিয়েও ভোক্তা অধিকার আইনের সহায়তা নিতে পারেন। সহজ কথায় যে জিনিস বা সেবা অর্থের বিনিময়য়ে যথার্থ ভাবে না পাওয়া যায়, তাই ভোক্তা অধিকার আইনের বিরোধী।


ভোক্তা যেভাবে প্রতিকার পেতে পারেন
এ আইনের মাধ্যমে একজন ভোক্তা তার অধিকার পেতে পারেন। যদি মনে করেন কোন পণ্য কিনে বা সেবা নিয়ে আপনি প্রতারিত হয়েছেন, কিংবা মানের তুলনায় অর্থ বেশি নিয়েছে। সেবা বা পণ্য ক্রয়ের এক মাস বা ৩০ দিনের মধ্য আপনি ভোক্তা আইনের অধিনে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে পারেন। যার জন্য আপনাকে ঐ সেবা বা পণ্য ক্রয়ের রশিদসহ লিখিত অভিযোগ করতে হবে। প্রথমিক তযন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ভোক্তা অধিদপ্তরে নিজ থেকেই মামলা করবে।


এ আইনে সাজা
যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে ভোক্তা বিরোধী কাজের জন্য সর্বনিম্ন এক বছর থেকে  তিন বছরের জেলসহ পঞ্চাশ হাজার থেকে দুই লাক্ষ টাকা জরিমানার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে। আর্থিক জরিমানার ২৫ শতাংশ অভিযোগকারী ক্ষতি পূরণ বাবদ পেয়ে থাকেন।

যদি আরও বিস্তারিত ভাবে এ আইন সম্পর্কে যানতে চান নিচের লিঙ্কে ক্লিক করেন 
বাংলাদেশের জন্য- http://bdlaws.minlaw.gov.bd/bangla_pdf_part.php?id=1014
আমেরিকা -এর জন্য-  https://www.usa.gov/state-consumer

follow দিয়ে সঙ্গে থাকুন

Saturday 6 May 2017

সংবাদপত্রের পরিভাষা (পর্ব-৩)

বাইফোকাল মাইন্ড (Bifocal mind):
সোজা কথায় "বাইফোকাল মাইন্ড" মানে দ্বিমুখী মন। কোন কিছু চোখে দেখা আর বিশ্লেষণী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখার শক্তিকে দ্বিমুখী মন বা বাইফোকাল মাইন্ড বলে। যেমন- একজন বয়সী ব্যক্তির চশমার মধ্যে কাছে ও দূরে দেখার যে শক্তি বা পাওয়ার থাকে, সাংবাদিকতা বৃত্তির মানুষের মনের ক্ষেত্রটাও সেই বাইফোকাল চশমার মত দ্বিমুখী। তাই সাংবাদিকতা বৃত্তির মানুষজনের মধ্যে দ্বিমুখী সত্তা কাজ করে বা করতে হয়।

ব্লক (Block):
কোন ধাতব প্লেটের ওপর খোদাই কোন মানুষ বা জীব-জন্তুর ছবি অথবা নকশা অঙ্কন করে ছবির প্রতিরূপ উৎপাদনকে ব্লক বলে। বর্তমান সময়ে আধুনিক প্রযুক্তি আসার কারণে ব্লকের মাধ্যমে ছবি তৈরির প্রচলন নাই বললেই চলে।

বক্স (Box):
ছোট অথচ মজাদার কিংবা ব্যতিক্রমী বা শোকাবহ সংবাদবিবরণীর চার পাশে রেখাবেষ্টিত করে দেয়াকে বক্স বলে। আর এ ধরনের রেখাবেষ্টিত সংবাদবিবরণীকে বক্স স্টোরি(box story) বলে।

ব্যুরো (Bureau):
কোন সংবাদ সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানের আঞ্চলিক সংবাদ সংগ্রহ কেন্দ্র ও প্রেরণের স্থানকে ব্যুরো বলে।

ক্যাপশন (Caption):
সংবাদপত্র বা সাময়িকীতে প্রকাশিত কোন আলোকচিত্রের পরিচিতিকেই ক্যাপশন বলে। তবে এক সময় ছবি বা কোন ইলাস্ট্রেশনের ওপরে পরিচয়জ্ঞাপক শিরোনামকেও ক্যাপশন বলা হতো।

সিটি এডিটর (City editor):
নগরী ও তার আশপাশের সংবাদ-ঘটনাসমূহ কাভারের কাজে নিয়োজিত রিপোর্টের বা প্রতিবেদকদের কর্মকাণ্ডের দায়িত্বে নিয়োজিত সম্পাদককে সিটি এডিটর বলে।

কপি এডিটর (copy editor):
যে ব্যাক্তি কপি সম্পাদনার কাজ করেন তিনিই কপি এডিটর। তাঁকে কপি রিডারও বলে।

কাব (Cub):
সাংবাদিকতা পেশায় একেবারে নতুনদের কে কাব বলে। সহজ কথায় নবীন শিক্ষার্থী। 

বিঃদ্রঃ- পরবর্তী পর্ব শীঘ্রই আসছে
Following দিয়ে সঙ্গে থাকুন।

Thursday 4 May 2017

সংবাদপত্রের পরিভাষা (পর্ব-২)

অ্যাড (Add):
মূল সংবাদের সঙ্গে বাড়তি কোন অংশ সংযুক্ত করার জন্য কম্পোজিটারদের প্রতি দিক নির্দেশনাকে অ্যাড বলে।

অ্যাসাইনমেন্ট (Assignment):
একটি সংবাদপত্র তার রিপোর্টারদের জন্য প্রদত্ত নির্দিষ্ট কাজের দায়িত্বকে অ্যাসাইনমেন্ট(Assignment) বলে।

বিট (Beat):
একজন সংবাদকর্মী যখন কোন সুনির্দিষ্ট একটি বিষয় বা একটি ভৌগোলিক এলাকা নিয়ে সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্বে নিয়জিত থাকেন সেটাকেই বিট বিলে।

বডি (Body):
একটি সংবাদবিবরণির শিরোনাম ছাড়া পুরো কাঠামোকে বডি বলে।

বডি টাইপ (Body type):
সংবাদবিবরণী কম্পোজের জন্য সাধারণত যে সাইজের টাইপ ব্যবহার করা হয় তাকে বডি টাইপ বলে। যেমন- ১২; ১৩ পয়েন্টের টাইপ।

ব্যানার (Banner):
সংবাদপত্রের প্রথম পৃষ্ঠার ওপরের অংশের ভাঁজের মাথায় পুরো পৃষ্ঠা জুড়ে বা প্রথম কলাম থেকে আট কলাম পর্যন্ত বিস্তৃত শিরোনামকে ব্যানার বলে। যাকে বাংলায় ফলাও শিরোনামও বলে।

ব্লো-আপ (Blow up):
কোন ছবি বা মুদ্রিত বিষয়কে বড় করা কে ব্লো-আপ বলে।

বয়েল বা বয়েল ডাউন (Boil or boil down):
কোন সংবাদবিবরণীকে প্রয়োজন অনুসারে কাটছাঁট করাকে বয়েল বা বয়েল ডাউন বলে।

বুলেটিন (Bulletin):
শেষ মুহূর্তের কোন তাৎপর্যপূর্ণ ও অপ্রত্যাশিত সংবাদকে বুলেটিন বলে।

বাইলাইন (Byline):
কোন সংবাদবিবরণীর উপরে ছাপা সংশ্লিষ্ট সংবাদকর্মীর বা রিপোর্টারে নামকে বাইলাইন বলে। অনেক সময় একে বাইলাইন স্টোরিও বলা হয়।

>>>>>পরবর্তী পর্ব http://dailylangol.blogspot.com/2017/05/blog-post_6.html

Following দিয়ে সঙ্গে থাকুন।

Wednesday 3 May 2017

সংবাদপত্রের পরিভাষা (পর্ব-১)

সাংবাদিকতা মানেই তো সংবাদ। সংবাদপত্র, সাময়িকী, জার্নাল সহ সকল মুদ্রণ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে সেই বিবরণী প্রকাশিত বা প্রচারিত হয়। যা সহজেই ভোক্তার হাতের মুঠোই পৌছায়। তার জন্য একজন সংবাদকর্মী বা সাংবাদিকে মেধা, মনন আর পরিশ্রমীর পাশা-পাশি তার দক্ষতা এবং নৈপুণ্যতা। আর এই পেশায় কাজের জন্য প্রয়োজন সংবাদিকতা পেশার জ্ঞান।





এবিসি (ABC):
যার পূর্ণাঙ্গ রূপ হচ্ছে "অডিট ব্যুরো অফ সার্কুলেশন"। প্রত্যেকটি পত্রিকা, সাময়িকী তে এ বিভাগ বিদ্ধমান। যা ঐ পত্রিকা, সাময়িকীর প্রচার সংখ্যা নিরূপণ করে থাকে।

অ্যাড (Add):
ইংরেজি Advertisement আর সংকিপ্ত রূপ। সহজ করে বললে "বিজ্ঞাপন"। পত্রিকা, সাময়িকীতে যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়।

অ্যাডভান্স (Advance):
ভবিষ্যতে কোন বড় ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বা আশঙ্কা থাকে। এ বিষয়ে আগাম রিপোর্ট বা প্রতিবেদন কে অ্যাডভান্স বলে।

আর্টিকেল (Article):
সংবাদপত্র বা সাময়িকীতে প্রকাশিত নিবন্ধঙ্কে আর্টিকেল বলে। যার মধ্য প্রচুর তথ্য থাকে।

অ্যাঙ্গেল (Angel):
একটি সংবাদ ঘটনার অনেকগুলো দিক থাকতে পারে। একজন রিপোর্টার বা প্রতিবেদক তাঁর পত্রিকার নীতি অনুসারে সে কোন দিকটিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে তাই অ্যাঙ্গেল।
 
>>>>>পরবর্তী পর্ব http://dailylangol.blogspot.com/2017/05/blog-post_4.html
Following দিয়ে সঙ্গে থাকুন।

Tuesday 2 May 2017

তথ্য অধিকার আইন কী এবং কেন

আপনি কী জানেন? তথ্য অধিকার আইন কি, কেন বা কিসের জন্য এ আইন? উত্তরে হয়ত অনেকেই বলবেন জানিনা! বা যেনে কি করবো এটা আইনজীবীদের কাজ। কিন্তু আপনার এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল।

তথ্য অধিকার আইন একটি রাষ্ট্রে বসবাসরত সাধারণ জনগণের স্বাধীন ভাবে তথ্য পাওয়া সংক্রান্ত আইন। এ ধরনের আইন প্রায় ৭০টির বেশী রাষ্ট্রে প্রচলিত আছে। সুইডেনে প্রথম এ আইনের  প্রবর্তন হয়। ১৭৬৬ সালে প্রবর্তিত এই আইনকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আইন নামে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

তথ্য অধিকার আইন একটি প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে ঐ রাষ্ট্রের জনগণ সরকারি তথ্য পেয়ে থাকে। অনেক রাষ্ট্রে তথ্য প্রাপ্তির অধিকার সাংবিধানিক ভাবে স্বীকৃত। বাংলাদেশের সংবিধানেও তথ্য অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। চিন্তা, বাকস্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ আছে। তবে এ বিষয়ে মৌলিক অধিকারের উপর কিছু যুক্তি সংগত কারণও রয়েছে। তাই সকলের উচিৎ তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে জানা এবং তার যথার্থ প্রয়োগ করা।
আপনাদের সুবিধার্থে তথ্য অধিকার আইনের লিঙ্ক দেওয়া হলঃ-  http://bdlaws.minlaw.gov.bd/bangla_pdf_part.php?act_name=&vol=&id=1011

Monday 1 May 2017

চেতনা কী শুধু বলার বিষয়

আজ-কাল টকশো, মিছিল, মিটিং, বক্তৃতায় শুধু একটি শব্দ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতে দেখা যায় "চেতনা"। যেকোনো প্রসঙ্গে এই শব্দের উল্লেখ প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে, অনেককে দেখা যায় "চেতনার" দোহাই দিয়ে ঠিক এর বিপরীত কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁদেরকে কে বুঝাবে বা তাঁরা কবে বুঝবে টকশো, মিছিল, মিটিং আর কথার ফুলজুড়ির মানে চেতনা নয়। ঐ যে একটা কথার প্রচলন আছে- "মুখে এক আর বিতরে আরেক"। "চেতনা" "চেতনা" করে চিৎকার কররে কাজের বেলায় ঠিক এর উলঠো।

চেতনা বলার বস্তু না।  "চেতনা" অন্তরে ধারণ করে বাস্তবে প্রয়োগ করা। আর হে "চেতনা" মানেই জন্মগত ভাবে আসা। কাউকে বলে কয়ে বা চিৎকার করে "চেতনা" জাগানো যায় না। বাংলাদেশের মানুষ তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অন্যায় অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে তা থেকে মুক্তি লাভ নিজ ঐতিয্য রক্ষায় সংগ্রাম করেছে, তাকে "চেতনা" বলা যায়। নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও স্বতন্ত্র সত্তর নামেই "চেতনা"। যার ফল ৫২ থেকে শুরু করে ৭১ এ একক, স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করেছিল যা এখনও অনুপ্রেরণা হয়ে আছে।

কবি, কবিতা, গান, মেহনতি মানুষের মুক্তি মানেই তো "কাজী নজরুল ইসলাম"-- (১)

অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব "কাজী নজরুল ইসলাম"। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি ‘বিদ্রোহী কবি’ এবং আধুনিক বাংলা গানের জগতে ‘বুলবুল’ নামে খ্যাত।

নজরুলের সাহিত্যকর্ম এবং তার বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে অবিভক্ত বাংলার পরাধীনতা, সাম্প্রদায়িকতা, সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ, মৌলবাদ এবং দেশি-বিদেশি শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রামশুরু হয়। যার প্রেক্ষিতে ইংরেজ সরকার তাঁর কয়েকটি গ্রন্থ ও পত্রিকা নিষিদ্ধ করে এবং তাঁকে কারাদন্ডে দন্ডিত করে। ইংরেজ সরকারের জেল-জুলুমের প্রতিবাদে তিনি আদালতে লিখিত রাজবন্দীর জবানবন্দী দেন এবং প্রায় চল্লিশ দিন একটানা অনশন করেন। "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর" তাঁকে সমর্থন জানিয়ে গ্রন্থ উৎসর্গ করে শ্রদ্ধা জানান।

নজরুলের কবিতায় ব্যতিক্রমি এমন সব বিষয় ও চয়ন ব্যবহার করা হয়েছে, যা আগে কখনো ব্যবহৃত হয়নি।  সমকালীন রাজনীতি, সমাজের যন্ত্রণা, মানবসভ্যতার মৌলিক সমস্যাও ছিল তাঁর কবিতার উপজীব্য।



বিঃদ্রঃ- এই সিকুয়েন্সের পরের লেখা শীঘ্রই আসছে